শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

ঢাকা মেট্রো এলাকার গনপরিবহনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ

ঢাকা মেট্রো এলাকার গণপরিবহনগুলোতে সরকারকর্তৃক নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ঘটনা শোনা যায়। বসের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন এক চিরায়ত প্রথা। সড়ক ও পরিবহন মুন্ত্রি জনাব অবাইদুল কাদের কয়েক দিন পূর্বে বলেছেন রাজধানীর শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া এবং না নিলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এর পরেই উঠে আসে অভিযোগ কেন্দ্র বা অভিযোগ গ্রহণকারীর প্রসঙ্গ। কে, কথায়, কিভাবে কিংবা কার কারকাছে অভিযোগ জানাবে?  আর তাই এই সমস্যা সমাধানে বিআরটিএর ফোন এবং ওয়েবসাইট থাকছে সকলের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য। বাস/মিনিবাস/সিএনজি অটোরিকশায় নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তা বিআরটি-এর ফোন নং- ৯১১৩১৩৩, ৫৮১৫৪৭০১, ৯১১৫৫৪৪, ৯০০৭৫৭৪- এ অফিস চলাকালীন সময়ে জানাতে পারবেন। এছাড়া বিআরটিএর ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ তার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং মোটরযানের নম্বর দিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করতে পারবেন।

 অভিযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন
 ভাড়ার তালিকা জানতে এখানে ক্লিক করন 

বিঃ দ্রঃ বিআরটিএ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে http://brta.gov.bd/ এই লিংক থেকে ঘুরে আসুন।  

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে প্রবেশে টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের

শিক্ষানগরী রাজশাহীর বলাযেতে পারে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা পাড় বিশেষ করে পদ্মা গার্ডেন। কিন্তু এই উম্মুক্ত ও সাবলীল সময় কাটানো যেন আর সয়ছে না কর্তাবাক্তিদের। তাদের এখন টাকার দরকার।

আর তাই, এই উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র রাজশাহীর পদ্মার পাড় ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। এখন থেকে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। এজন্য নগরবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, বিনোদন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বড়কুঠি থেকে টি-বাঁধ পর্যন্ত পদ্মার পাড় রাজশাহী নগরবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রবেশের আগে ধরা-বাঁধা কোন নিয়ম ছিলো না। কিন্তু এখন টিকিট কেটে পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে দর্শনার্থীদের।

এ লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দরগাপাড়া মাজার থেকে লালন শাহ পার্ক পর্যন্ত ১০ ফিট উঁচু করে পিলার দিয়ে ঘিরে দিচ্ছে। এতে পদ্মাপাড়ে নগরবাসীর উন্মুক্ত চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।

এ ব্যাপারে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর মতো সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িতরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে দর্শনার্থী-বিমুখ হয়ে পড়তে পারে পদ্মার পাড়।

অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পদ্মার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, নির্দিষ্ট এলাকার পদ্মার পাড়কে কাঁটাতারে ঘিরতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।
সুত্রঃ সময় টিভি

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

শুধু রাজধানীর শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া

এত দ্বারা সর্বসাধারনের অবগতির জন্য মাননিয় মন্ত্রি ওবায়দুল কাদের, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, জানিয়েছেন যে, সরকারি মালিকানাধীন বাস বিআরটিসিসহ অন্যান্য বাসগুলোতেও শিক্ষার্থীদের মূল ভাড়ার অর্ধেক নিতে হবে অন্যথায় পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল সোমবার ঢাকাস্থ বিআরটিসির কার্যালয়ে বাস ডিপো ব্যবস্থাপকদের সাথে মন্ত্রীর বৈঠক  শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন ।

বিঃদ্রঃ 
 > পরিবহনঃ বিআরটিসিসহ সকল বাস
> এলাকাঃ শুধু মাত্র রাজধানী শহর
> অভিযোগ কেন্দ্রঃ নাই
>অভিযোগ গ্রহিতাঃ বাসের কনট্রাক্টর
>ফলাফলঃ বাকবিতণ্ডা 

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

৩০ অক্টোবর অবশিষ্ট ১৭ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১৭ জেলায় লিখিত পরীক্ষা 
তারিখঃ  ৩০ অক্টোবর ২০১৫ শুক্রবার
সময়ঃ সকাল ১০টা থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত
অন্তর্ভুক্ত জেলাঃ রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বরিশাল, 
                           কিশোরগঞ্জ,  টাঙ্গাইল, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা। 
প্রার্থীর সংখ্যাঃ ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৮ জন।
প্রবেশপত্র প্রাপ্তিঃ www.dpe.teletalk.com.bd
তথ্য প্রদান করেনঃ  রবীন্দ্রনাথ রায়, জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তথ্য সুত্রঃ সমকাল24

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের তথ্য আহবান

http://services.nu.edu.bd/nu-app/

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হবে কমিশনের মাধ্যমে

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে গঠিত হবে এই কমিশন। কমিশন শূন্য পদের হিসেব করে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করবে। সেখান থেকে মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এতে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির ক্ষমতা আর থাকছে না। তারা শুধু কমিশনের তৈরি করা মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের ব্যবস্থা করবেন।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এটা কার্যকর হতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। এর আগ পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে না বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নিয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকে পরিচালনা কমিটির হাতে। এতে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।

প্রস্তাবিত নিয়মে প্রথমে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করবে কমিশন। এরপর কমিশন পরীক্ষা নেবে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় মেধা তালিকা করা হবে। এই তালিকার মধ্য থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে যারা নিবন্ধিত হয়ে আছেন, তাদেরও আগামী তিন বছর পর্যন্ত একটি সুযোগ দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষ সচিব নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম-আলো.কম

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

সিটি করপরেশনের ছোট-বড় চোর ধোরতে প্রযুক্তির ব্যবহার

কোনোভাবেই যখন জ্বালানি তেল চুরি ও গাড়িগুলোর অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তখন প্রয়োজন পড়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের। তাই এবার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ কে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে ডিএনসিসি শুরু করতে যাচ্ছে ভিটিএস বা ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম।
ট্রিপ না দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া, ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ২০ কিলোমিটার দেখানো বা গাড়ি ফেলে বাসায় ঘুমিয়ে কাটানোর প্রবণতা। অসাধু চালকদের এ রকম নানা কূটকৌশলে পেরে উঠছিল না কর্তৃপক্ষ। তাই চলতি মাসের মধ্যেই মেয়র থেকে শুরু করে ডিএনসিসির ২০৮টি গাড়িতে লাগানো হচ্ছে ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) নামক একটি ছোট্ট যন্ত্র। যানবাহনের এমন একটি স্থানে ভিটিএস সংযোজন করা হবে, চালক নিজেও তা জানতে পারবেন না। এ সিস্টেমের মাধ্যমে একটি গাড়ি কখন কোথায় আছে, সারা দিনে কোথায় কোথায় চলাচল করেছে, কত কিলোমিটার পথ চলেছে, কী পরিমাণ জ্বালানি পুড়েছে তার সবকিছু সর্বক্ষণ মনিটর করা যাবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গাড়িগুলোর প্রতি মাসের চলাচল-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও প্রিন্টের মাধ্যমে দেখা যাবে।
ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক সমকালকে বলেন, জ্বালানি ব্যয় কমাতে শিগগিরই তারা গাড়িতে ভিটিএস সংযোজন করতে যাচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত অনেক কাজও এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসের মধ্যেই গাড়িগুলোতে ভিটিএস যুক্ত হতে পারে। এতে জ্বালানি চুরিও বন্ধ হবে। কেউ কাজেও ফাঁকি দিতে পারবে না।
ডিএনসিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) মাহবুবুর রহমান সমকালকে জানান, ভিটিএস লাগালে প্রতি মাসে ডিএনসিসির এক লাখ টাকার মতো বাড়তি খরচ হবে। কিন্তু উপযোগিতা পাওয়া যাবে কোটি টাকার সমান। চলমান ২০৮টি গাড়িতেই ভিটিএস লাগানো হবে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিটিএস সংযোজনের বিষয়ে ডিএনসিসির আলোচনা করে ডিএনসিসি। মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি বলেছে, তারা প্রতিটি গাড়িতে সাত হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে ভিটিএস সংযোজন করে দিতে পারবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে গাড়িপ্রতি দিতে হবে ৫৫০ টাকা। গ্রামীণফোন ভিটিএস সংযোজনে চায় আট হাজার ৮০০ টাকা। মাসিক খরচ ৬৭২ টাকা। আর নিটল মোটরস চায় নয় হাজার ৫০০ টাকা ও গাড়িপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ভিটিএসের দুই বছরের ওয়ারেন্টি দেবে। এ সময়ে সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বও তারাই পালন করবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিটিএস সংযোজন করা প্রতিটি গাড়ির প্রতিমুহূর্তের তথ্য যে কোনো স্থানে বসেই জানা যাবে। পরে রবিকে চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে রবিকে কাজ দেওয়ার জন্য মেয়রের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
ভিটিএসের সুবিধা :ভিটিএস সংযোজনের মাধ্যমে গাড়িগুলোর গতি ও এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। নির্ধারিত গতি ও এলাকা অতিক্রম করলেই সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে মেসেজ পেঁৗছাবে। ওই গাড়ির আশপাশের গাড়িগুলোর তথ্যও পাওয়া যাবে। গাড়িটি চুরি হয়ে গেলে কেন্দ্র থেকেই গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেওয়া যাবে। গাড়ির সার্বক্ষণিক অবস্থানও জানা যাবে। ইঞ্জিনের মান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবে ভিটিএস। কী পরিমাণ জ্বালানি পুড়ল, সে তথ্যও পাওয়া যাবে।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কোটি টাকার জ্বালানি খরচ করা হলেও ওই জ্বালানিতে যে পরিমাণ রাস্তা চলার কথা, ডিএনসিসির গাড়িগুলো ওই পরিমাণ রাস্তা অতিক্রম করে না। অনেক সময় কর্মকর্তারা গাড়িগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বা ঢাকার বাইরে অবকাশ যাপনে নিয়ে যান। অনেক চালক গাড়ি নিয়ে বাণিজ্যিক ট্রিপও দেন। আর বর্জ্যবাহী গাড়িগুলো দুই ট্রিপ দিয়ে তিন-চার ট্রিপের কথা উল্লেখ করে।
 অনেক সময় ট্রিপ না দিয়ে জ্বালানির কুপন তুলে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার কাহিনীও নতুন নয়। এসব কারণে রাজধানীর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমেরও তেমন উন্নতি হচ্ছে না। এসব অনিয়ম রোধে ডিএনসিসি কয়েকজন চালককে সাময়িক বরখাস্তও করেছে। তার পরও আশানুরূপ ফল মেলেনি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ভিটিএসই এসব অনিয়ম প্রতিরোধের সর্বোত্তম সমাধান।

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

২০১৪ সালের সম্মান ১ম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ আজ ১২ অক্টোবর

http://www.nu.edu.bd/results/

সরকারি চাকুরিতে 'আবেদন ফি' আর না

খুব শিগ্রই সরকারি চাকরিতে ‘আবেদন ফি’ তুলে দিতে যাচ্ছে সরকার । এর ফলে প্রায় ৬ কোটি বেকারকে আর গুনতে হবে না চাকরির আবেদন ফি'র জন্য বাড়তি টাকা। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আদেশ জারি হবে। এছাড়া আবেদনকারীদের ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে মাত্র এক পৃষ্ঠার আবেদনপত্র করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মানবকণ্ঠ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো টাকা নেবে না সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরিতে আবেদন তুলে দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, নানা খাতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারদের কাছে আবেদন ফি বাবদ যে টাকা জমা হয়, তা না হলেও চলবে। এ আদেশ জারি হলে লাখ লাখ বেকার যুবককে চাকরির আবেদনের সঙ্গে পোস্টাল অর্ডার, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে না।
বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের আবেদনপত্রে জন্য মোবাইলে ৫শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে, প্রথম শ্রেণীর পদের জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য ১০০ থেকে ৫টাকা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে আবেদন ফি ৫০০-১০০ টাকা ও ব্যাংকের আবেদনে ৩০০টি নেয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে  আবেদন ফি নিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাকরির আবেদনে পোস্টাল অর্ডার, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করার বিধান রহিত করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
রেলপথসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে ডাক বিভাগ ও খাদ্য অধিদফতরে প্রার্থীদের দেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আত্মসাৎ করা  নিয়ে মামলাও হয়েছিল। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদফতর এবং রেলওয়েতে চাকরি প্রত্যাশীদের তিন লাখ আবেদন এখনো বিবেচনা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ২০০৪ সাল থেকে এসব আবেদন পড়ে আছে। আর আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত ১০০ টাকার পোস্টাল অর্ডারের ভাগ্যে কী হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। এসব কারণে আবেদন ফি তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চাকরির আবেদন ফি সরাসরি ফান্ডে জমা পড়ে। চাকরির জন্য লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার ব্যয় অন্য ফান্ড থেকে মেটানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ আবেদন ফি থেকেই অর্থ ব্যয় হয় না।
তাছাড়া দেখা গেছে, কোনো একটি পদে ৫০ জন নেয়ার কথা। এর বিপরীতে ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। লিখিত পরীক্ষায় ৩শ’ থেকে ৫শ’ জন পাস করে। বাকিরা ভাইভার আগে বাদ পড়েন। চাকরি পাওয়ার চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার জন্য তাদের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এসব বিষয়াদি জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সাফ কথা, বেকারদের এমনিতেই আয়-রোজগার নেই, ওরা টাকা দেবে কোথা থেকে। ওদের টাকা আর নেয়া যাবে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যয় মেটানোর আলাদা প্রক্রিয়াটি তাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সরকারের ভেতরে কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আদেশ জারি হবে।
এদিকে সরকার চাকরির আবেদনকারীদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখন থেকে চাকরির জন্য নিজ হাতে লিখিত আবেদন করতে হবে না। আবেদনের সঙ্গে অসংখ্য সনদের ফটোকপি দেয়ারও বিধান বাতিল করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাকরির আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা বা আবেদন সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে বছরের পর বছর আবেদন ফেলে রাখা হয়। বিশেষ করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদের নিয়োগের বিলম্ব খুঁজতে গিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষিতে যারা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন তারাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন এমন সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দেয়া হয়েছে।
আবেদনের সঙ্গে জন্মসনদ, নাগরিক সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, চারিত্রিক সনদসহ অনেক ধরনের কাগজপত্র সংযুক্ত করার বিধান ছিল। এটা আবেদনকারীদের জন্য অতিরিক্ত বিড়ম্বনা। তিনি চাকরি পাবেন কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই অথচ তার আগেই আবেদন করতে গিয়ে তাকে নানা ঘাটে পয়সা গুনতে হয়, না হয় হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। এসব থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের মুক্তি দিতেই সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু নির্ধারিত ফরমে চাকরিপ্রত্যাশীকে আবেদন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময়ে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা শর্তের সপক্ষে প্রমাণপত্র হাজির করতে হবে। তবে আবেদন ফরমে প্রার্থীকে অঙ্গীকার করতে হবে যে, তার দেয়া তথ্য সঠিক। ভুল তথ্য দিলে প্রার্থী আইনানুগ শাস্তি গ্রহণে বাধ্য থাকবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতর-অধিদফতরসহ সব প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত ফরমের ছকও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অনলাইন বা ফরম ডাউনলোড করে খামেও আবেদন করা যাবে।
এসব পদক্ষেপে চাকরিপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমবে এবং চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা দূর হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এক পাতার আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে শুধু ৫/৫ সেন্টিমিটার সাইজের সদ্য তোলা দুই কপি ছবি। পদের নাম, বিজ্ঞপ্তির তারিখ, প্রার্থীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, জন্মজেলা, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, প্রার্থীর বয়স, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, বর্তমান ও স্থায়ী, জাতীয়তা, ধর্ম, জেন্ডার, পেশা শিক্ষাগত যোগ্যতা, বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়, পাসের সাল, গ্রেড/শ্রেণী বা বিভাগ, মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর বা ই-মেইল যদি থাকে। পরিশেষে প্রার্থীর স্বাক্ষর।
এসব তথ্যের সপক্ষে কোনো সনদ সত্যায়িত করে সংযুক্ত করার দরকার নেই। শুধু মৌখিক বা চূড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষার সময়ে তা হাজির করতে হবে।