রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

শিক্ষকের শূন্যপদের তালিকা হচ্ছে



http://smarttechinfo.com/
সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগযোগ্য শিক্ষকের শূন্যপদের সঠিক তালিকা তৈরি করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরী ইনস্টিটিউটে নিয়োগযোগ্য কতজন শিক্ষকের পদ শূন্য হবে তার প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সঠিক তালিকা চেয়ে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) সোলতান আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদের ৭টি  তথ্যের জন্য একটি নমুনা ফাইলও পাঠানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, কর্মচারী এবং সহকারী গ্রন্থগারীকদের শূন্যপদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি জারি করা শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধান সংক্রান্ত এস আর ওর কপি উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সরবরাহ করেছে এনটিআরসিএ।
এক প্রশ্নের জবাবে, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটসহ কয়েকটি বিভাগের জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, “তালিকা তৈরি করে নির্ধারিত ইমেইলে পাঠিয়েছি
আবার কেউ বলেছেন তারা শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনটিআরসিএর চিঠি পাননি।
এনটিআরসিএর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, মেধা তালিকা থেকে নিবন্ধনধারীদের এই শূন্যপদের তালিকা অনুযায়ী নিয়োগের জন্য পাঠানো হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২২ অক্টোবর এসআরও জারির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ সংসদ সদস্যরা প্রথমদিন সংসদে হইচই ও বিরোধীতা করলেও উচ্চমহলে নির্দেশে চুপসে গেছেন পরবর্তীতে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক কিছু বেহুদা নেতা-কমী ঢুকে পড়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন অনেকে। টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছিল গত ১৫ বছর যাবত। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে নিবন্ধন পরীক্ষা শুরুর পর থেকে  গুণগত মান কিছুটা হলেও নিশ্চিত হলেও নিয়োগে টাকা লেনদেন দিনদিন বেড়েই চলছিল।
সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছেন নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়ন ও গুণগত মানের উন্নতিকল্পে। সারাদেশের মানুষ এ পদক্ষেপে যারপরনাই খুশী হয়ে স্বাগতম জানিয়েছেন।

সংগৃহীত
সুত্রঃ দৈনিক শিক্ষা ডট কম 

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

লাল তালিকাভুক্ত ২৩টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ

২৩টি কলেজের নাম:
সারোয়ার খান টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনা; মঠবাড়িয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পিরোজপুর; ড: মিয়া আব্বাস উদ্দীন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বাগেরহাট; মহানগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, নিউ পল্টন লাইন আজিমপুর, ঢাকা; সিটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম; মুন্সী মেহেরউল্লাহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বিমানবন্দর সড়ক, যশোর ও যশোর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পালবাড়ী, মুর্তির মোড়, যশোর; উপবন্দর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চট্টগ্রাম; বগুড়া বিএড কলেজ, বগুড়া; মাগুরা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, মাগুরা সদর মাগুরা; কক্সবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চৌধুরীপাড়া লিংক, কক্সবাজার; হাজী ওয়াজেদ আলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সুলতানপুর সাতক্ষীরা; আমিরুল ইসলাম কাগজী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পাইকগাছা, খুলনা; সেকান্দার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, মতলব, চাঁদপুর; কুমিল্লা মডেল এডুকেশন রিসার্স সেন্টার, দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া কুমিল্লা; হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর; পরশপাথর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, বন্দর, চট্টগ্রাম; কলেজ অব এডুকেশন, আমানতগঞ্জ, বরিশাল; পিরোজপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পিরোজপুর; দক্ষিণবঙ্গ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, পটুয়াখালী; জয়পুরহাট টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, জয়পুরহাট; কলেজ অব এডুকেশন রিসার্স এন্ড ট্রেনিং, বিজয়নগর, ঢাকা ও ন্যাশনাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম।

সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

কলেজ সরকারীকরণ ...

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে কলেজ সরকারিকরণ নিয়ে দেশে চলছে এক তেলেসমাতি কাণ্ড। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। ভুক্তভোগীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক অসন্তোষ, হতাশা। জায়গায় জায়গায় সংঘটিত হচ্ছে তুঘলকি সব কাণ্ড। সমাবেশ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি- চলছে হিসাব-নিকাশ। কোনটি আগে আর কোনটি পড়ে। কোনটিকে বাদ দিয়ে কোনটি। তালিকায় আমাদেরটির নাম নেই কেন? উপজেলা সদরেরটি বাদ রেখে ইউনিয়নেরটির নাম? একই উপজেলায় দুটি? এ এক নীরব কিংবা সরব প্রতিযোগিতা। কখনও কখনও টাকা-পয়সার লেনদেনের কথাও শোনা যায়। অবশ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে কৌতূহলেরও কোনো কমতি নেই। সীমা-পরিসীমা নেই সরকারি করা অথবা না করা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মনে অন্তর্জ্বালারও।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির সময় আমাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে (সাবেক পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তান অংশে) সরকারি কলেজ পড়ে মোট আটটি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয় মোট ৩০টিরও কম সরকারি কলেজ নিয়ে। ১৯৭২ সালের ২২ আগস্ট সদ্যস্বাধীন দেশের জাতীয় সংসদে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী প্রদত্ত বক্তৃতা থেকে জানা যায়, ওই সময় সারা দেশে কলেজ ছিল মোট ২৩৬টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি কলেজ ছিল ৩২টি। এ ৩২টি সরকারি কলেজের মধ্যে ২৬টি ডিগ্রি ও বাকি ছয়টি ইন্টারমিডিয়েট স্তরের। মন্ত্রীর বক্তৃতা থেকে আরও জানা যায়, এ সময়ে বেসরকারি কলেজ ছিল মোট ২০৪টি; ডিগ্রি ১১০টি এবং ইন্টারমিডিয়েট স্তরের ৯৪টি। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে (১৯৭২-১৯৭৫) জায়গায় জায়গায় হাতেগোনা আরও দু-চারটি কলেজকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমানের আমলেও (১৯৭৫-১৯৮১) বিচ্ছিন্নভাবে বেশক’টি কলেজ সরকারি করা হয়। ১৯৭৯ সালে ডিগ্রি ও ইন্টারমিডিয়েট মিলে সারা দেশে সরকারি কলেজের সংখ্যা ছিল ৫৪। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে জিয়াউর রহমানের আমলেই সব প্রশাসনিক মহকুমা সদরে (বর্তমান জেলা) অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী একটি করে কলেজকে সরকারি বলে ঘোষণা করা হয়। এভাবে বিগত শতকের আশির দশকের শুরুতে দেশে সরকারি কলেজ হয় মোট একশ’টির মতো।

এরশাদের জমানায় তার আকস্মিক ঘোষণায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা কলেজকে সরকারি করা হয়। খালেদা জিয়ার তিন মেয়াদে দশ বছরে এবং শেখ হাসিনার তিন মেয়াদের বার বছরের (যা এখনও চলমান) শাসনামলে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করা হয়। সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে এরূপ সরকারিকরণ প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে সরকারি কলেজ রয়েছে তিনশ’র বেশি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় (ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর) উচ্চশিক্ষা দানোপযোগী প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯০৯ সালে স্থাপিত হয় আনন্দমোহন কলেজ। ময়মনসিংহ শহরে এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের ৩৪ বছর পর ১৯৪৩ সালে এ অঞ্চলের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিত হয় কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ। এর ৩ বছর পর জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ এবং পরের বছর ১৯৪৭ সালে স্থাপিত হয় ভৈরব হাজী আসমত কলেজ। ১৯৪৮ ও ১৯৫০ সালে স্থাপিত হয় যথাক্রমে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ ও গফরগাঁও কলেজ। নেত্রকোনা কলেজ স্থাপিত হয় ১৯৪৯ সালে। গফরগাঁও কলেজ স্থাপিত হওয়ার পর ১৪ বছরের মধ্যে (১৯৫০-১৯৬৪) ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর এলাকায় আর কোনো কলেজ গড়ে ওঠেনি। এমনই এক প্রেক্ষাপটে কিশোরগঞ্জের মোটামুটি মধ্যাঞ্চলে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাজিতপুর কলেজ। বৃহত্তর ময়মনসিংহের উচ্চশিক্ষাদানকারী অষ্টম প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে বাজিতপুর কলেজ। অবশ্য একই সময়ে (১৯৬৪ সালে) আরও দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। একটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং অপরটি শেরপুর কলেজ। বর্তমানে বৃহত্তর ময়মনসিংহে ডিগ্রি স্তরের কলেজের সংখ্যা বোধকরি একশ’র ওপরে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের ১৮ বছর পর ১৯৬৪ সালে প্রথম আনন্দমোহন কলেজকে সরকারি করা হয়। ১৯৪৭-পরবর্তী এক বা দেড় দশকের মধ্যে এ অঞ্চলের (পূর্ব পাকিস্তান) আর কোনো কলেজ সরকারিকরণ হয়নি। বিশ শতাব্দীর সত্তর দশকের একেবারে শেষদিক থেকে শুরু করে বিগত ৩৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে আরও বেশকিছু সংখ্যক কলেজ সরকারি করা হয়। উল্লিখিত পাঁচ জেলায় সরকারি কলেজ এখন ২০টি।

লক্ষ্য করার বিষয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাঁচ জেলায় পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিশটি কলেজকে সরকারিকরণ করা হলেও বেশ পুরনো, খ্যাতনামা ও ঐতিহ্যবাহী অনেক কলেজ রয়েছে এর বাইরে। নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ তথা রাজনৈতিক কারণে এবং প্রভাবশালীদের ব্যাপক আগ্রহে জায়গায় জায়গায় হঠাৎ গড়ে ওঠা অনেক অপেক্ষাকৃত নতুন কলেজকে সরকারি করা হলেও এক্ষেত্রে বছরের পর বছর, এমনকি যুগের পর যুগ সরকারি নীতিনির্ধারকদের চরম নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনায় পাকিস্তান ও ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত অনেক ‘পূর্ণাঙ্গ কলেজ’ (বিএ/বিএসএস, বিএসসি ও বিবিএস) বৈষম্যের শিকার হয়ে আজও বেসরকারি হিসেবেই মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। এসব কলেজে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স পড়ারও সুযোগ। দৃষ্টান্ত হিসেবে ভৈরব হাজী আসমত কলেজ (১৯৪৭), নাসিরাবাদ কলেজ (১৯৪৮) ও বাজিতপুর কলেজের (১৯৬৪) কথা উল্লেখ করা যায়। স্বাধীনতার পর (১৯৭২) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর কলেজসহ ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশে ডিগ্রি স্তরে সরকারি-বেসরকারি পাঠদানোপযোগী কলেজের সংখ্যা ছিল ১৩৬ (এগুলোর মধ্যে সরকারি ২৬টি)। আর বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই হাজারের বেশি কলেজের মধ্যে একশ’রও বেশি কলেজ রয়েছে ময়মনসিংহের উল্লিখিত পাঁচ জেলাতেই। অথচ সময় সময় ঘোষণার মাধ্যমে হওয়া তিন শতাধিক সরকারি কলেজের তালিকায় আজ পর্যন্তও বাজিতপুর কলেজ, নাসিরাবাদ কলেজ ও ভৈরব হাজী আসমত কলেজের নাম উঠেনি! কেবল তাই নয়, সম্প্রতি প্রচারমাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সরকারিকরণের জন্য সারা দেশের যে দেড়শ’ কলেজের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতেও এসব স্বনামখ্যাত কলেজের নাম চোখে পড়েনি।

খোঁজ নিলে সারা দেশেরই বলতে গেলে একই চিত্র ভেসে উঠবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকা আর থাকলেও তা অত্যন্ত ত্রুটিযুক্ত হওয়া এবং সর্বোপরি ক্ষমতাসীনদের (যখন যারা ক্ষমতায় থাকে) একদেশদর্শী নীতির কারণে মূলত এমনটি হয়েছে এবং আজও হচ্ছে। আর মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও বিভাগীয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কলকাঠি নাড়ার বিষয়টি তো রয়েছেই। এমন সব অনিয়ম, অন্যায়, বৈষম্য ও অনাচারের জবাব কী?

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একদিক থেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে করি এ কারণে যে, স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন- সর্বোচ্চ ১২ বছর দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমাদের দেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একনাগাড়ে সাত বছর ধরে ক্ষমতার গদিতে সমাসীন। সবকিছু ঠিক থাকলে সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার দেশ শাসন করবে। জাতির জন্য দুর্ভাগ্যই বলতে হবে, আমাদের দেশে কোনো একটি গণতান্ত্রিক সরকারই টানা দুই মেয়াদ তার কার্যকাল সম্পন্ন করার সুযোগ পায়নি। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তনে দেশের উন্নয়ন তো বটেই, এমনকি কোনো কাজেরই ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় না। আমরা চাই দেশের অন্য শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সুন্দর-সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে উঠুক। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে এক ঘোষণার মাধ্যমে দেশের চল্লিশ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেছিলেন। পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে একইভাবে মহকুমা শহরের ঐতিহ্যবাহী একটি করে কলেজকে সরকারিকরণের আওতায় আনেন। যুক্তি ও ন্যায়ের ভিত্তিতে না হলে কিংবা সঠিক বোধ-বিবেচনা ছাড়া নিছক আবেগের বশবর্তী হয়ে এভাবে কলেজ সরকারি করা হলে বৈষম্য বাড়ার পাশাপাশি এ নিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে অসন্তোষ, ক্ষোভ, হতাশা এবং অন্তর্জ্বালার পরিধি কেবল বিস্তৃতই হতে থাকবে।
তথ্য প্রদানেঃ  বিমল সরকার,  সহকারী অধ্যাপক

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

সরকারের নজরদারিতে বিকল্প পথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারকারীরা

"সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ ও ভাইবার যারা বিকল্প পথে ব্যবহার করছেন, তারা সরকারের নজরদারিতে রয়েছেন"- বলে জানান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি আরও বলেন বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন সীমিত ব্যবহারকারী বলে তাদের ওপর নজর রাখা সরকারের জন্য সহজ হচ্ছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মোবাইল ডিভাইসেস অ্যান্ড ইটস রোল ইন ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ বিষয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি)। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যদান কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খোলা হবে কবে- এমন প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ বিকল্প পথে এসব ব্যবহার করছে জানিয়ে অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলার কারণও জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিরাপত্তার খাতিরে সাময়িকভাবে মাধ্যমগুলো বন্ধ।

‘কিন্ত যারা বিকল্প পথে এসব ব্যবহার করছেন, সেটি তারা নিরাপদভাবে ব্যবহার করছেন না। সীমিত ব্যবহারকারী বলে আমাদের মনিটরিং করা সহজ হচ্ছে। এছাড়া নেটওয়ার্ক স্লো পাচ্ছেন তারা। ধীরগতির নেটওয়ার্কের কারণে অপরাধীরা নেটওয়ার্ক গড়ার সুবিধা পাচ্ছে না’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম আরও বলেন, প্যারিসেও বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। কিন্তু তারা উষ্মা প্রকাশ করছে না। বড় কোনো বিপদ ঘটে যাওয়ার পরে বন্ধ করে কী হবে? আগে থেকেই একটু প্রস্তুতি রাখা ভালো। দেশের স্বার্থে তরুণ শিক্ষার্থীরা আশা করি এ অসুবিধাটি মেনে নেবেন।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম কবে খোলা হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তার স্বার্থে যতদিন বন্ধ থাকা প্রয়োজন, ততদিন বন্ধ থাকবে এসব মাধ্যম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন বলবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে, তখন এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, কাস্টমস ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনর ডিরেস্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান, র‌্যাবের কমিউনিকেশন উইং পরিচালক কমান্ডার শাহেদ করিম, লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান, ইনভিকোর সিইও ফাওয়াদ গোরায়ের, বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোল্লা মো. জুবায়ের, র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ রপ্তানি

ভারত  ব্যান্ডউইথ আমদানি করছে বাংলাদেশ থেকে। যদিও বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের অভিযোগ নিজেরা যথেষ্ট ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে না বা কর্তৃপক্ষ দিচ্ছেনা। 

তবুও যেহেতু দেশের ব্যান্ডউইথ এর পরিমান অনেক বেশি, ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে ভারতের সাথে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সোমবার এ সংযোগ স্থাপিত হয়।

এতে ভারতের সঞ্চার নিগার লিমিটেডের (বিএসএনএল) অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিডেটের (বিটিসিএল) নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হয় ।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে ব্যান্ডউইথ পেতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এবং ভারত সঞ্চার নিগার লিমিটেড (বিএসএনএল) এর মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুসারে ভারতীয়রা ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে। যার মূল্য নির্ধারিত রয়েছে প্রতি এমবিপিএস ১০ ডলার।


বাংলাদেশের মুদ্রায় বছরে এই রপ্তানি থেকে বিএসসিসিএলের অন্তত নয় কোটি ৩৬ লাখ টাকা আয় করবে।

বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির হাতে আছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৪৩ জিবিপিএস। ভারতীয়রা ১০ জিবিপিএস নিলে ব্যবহার বেড়ে দাঁড়াবে ৫৩ জিবিপিএস।

রপ্তানি শুরুর পরে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ আছে।

যদিও চুক্তির পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারতের পূর্বদিকের সাত রাজ্যে এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু করা যায়নি। অথচ চুক্তি অনুসারে তিন মাসের একটি বাধ্যবাধকতা ছিল।

গত ৫ জুন এ বিষয়ে দুই পক্ষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রপ্তানি চুক্তি হয়েছিল। সে অনুয়ায়ী সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যেই ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু হওয়ার কথা।

এখন ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে দুই দেশের অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্ত হওয়ায় প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে বলে মনে করছে বিটিসিএল।

বিটিসিএল বলছে, বাংলাদেশ অংশের যাবতীয় কাজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সম্পন্ন করা হয়েছে। তাই ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

সংযোগ স্থাপনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জিএম ট্রান্সমিশন শাহীদুল আলম ও মার্কেটিং প্রধান কবির হাসান।

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

অতঃপর পরীক্ষা ও হরতাল রঙ্গ

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সোমবার (২৩ নভেম্বর) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।
আগামীকাল সোমবার ২৩ শে নভেম্বরঃ
জামায়াতের ডাকা হরতালেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত সব পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির  ‘গ’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম হাফিজুর রহমান আমাদের প্রতিনিদিকে এ তথ্য জানান।
অপরদিকে
 হরতালের কারণে এদিনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া এই পরীক্ষা আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা উপলক্ষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর- ৯৫১৫৯৭৭ এবং ৫৫০৭৪৯৩৯।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য সোমবারের (২৩ নভেম্বর) পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সোমবারের এসএসসি/দাখিল (ভোকেশনাল) নবম শ্রেণির ওই সমাপনী পরীক্ষা আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

আগামী জানুয়ারিতেই ৩৭ তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার

আসছে জানুয়ারি'১৬তেই ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার সাকুর্লার জারি করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জানুয়ারি মাসে ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার জারির বিষয়ে কমিশন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে ১৮০৩ প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য বর্তমানে সরকারি কর্মকমিশনে ৩৫তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করে, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং আগামী এপ্রিল-মেতে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করা যাবে বলে কমিশন আশা প্রকাশ করেছে।

সৈয়দ আশরাফ জানান, ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়নি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নন-ক্যাডার পদে আবেদনকারী পাঁচ হাজার ১৭০ প্রার্থীকে ১ম ও ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদে নিয়োগের জন্য শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পরই উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাতটি বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডার পদে ২০ হাজার ৭৮৩ প্রার্থীকে কমিশন কর্তৃক সুপারিশ করা হয়েছে।

পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে সরকারি নন-ক্যাডার পদে মোট ৩৫১৯ জন লোক নিয়োগ করা হবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি দপ্তরসমূহে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাসমূহের চাহিদার পরিপেক্ষিতে সরকারি কর্ম-কমিশনের মাধ্যমে ১ম ও ২য় শ্রেণির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী জববল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

পটুয়াখালী-৩ আসনের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে জনপ্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মকর্তার সংখ্যা সর্বমোট ৬৫৪ জন। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৫৫১ জন এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৩ জন।

ঢাকা-৭ আসনের হাজী মো. সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে সাধারণ কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ মার্চ ১৯৯৭ তারিখের স্মারকে জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ১ ও ২য় শ্রেণির পদসমূহের বিদ্যামান কোটা বহাল আছে বলে জানান তিনি।

হরতালের সমর্থনে রাজশাহীতে ককটেল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে তাদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আর এই রায়ের প্রতিবাদে দলীয় নেতার সম্মানার্থে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধা হরতালের ডাক দিয়েছে "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম" নামের একটি রাজনৈতিক দল।

বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী হরতাল সমর্থনে মহানগরীর বিনোদপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে শিবিরকর্মীরা।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পাঁচ মিনিট স্থায়ী এ বিক্ষোভ মিছিল থেকে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।

এসময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার আগেই শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিবিরকর্মীরা হঠাৎ বিনোদপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

এসময় তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মুক্তি দাবি করে স্লোগান দেয়।

মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর জানান, শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল বের করার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস প্রমানিত, নতুন পরীক্ষার সুপারিশঃ গণতদন্ত কমিটি

প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নতুন করে নেয়ার সুপারিশ করেছে গণতদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটি এ সুপারিশ করেছে।এতে বলা হয়, মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও বাণিজ্যিক তৎপরতা ছিল।
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস-বিষয়ক গণতদন্ত কমিটি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থী পাওয়ার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে থাকার স্বার্থে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও যোগ্য শিক্ষার্থীর প্রয়োজন ছিল। পাস নম্বর কমিয়ে দেওয়া, প্রশ্ন সহজ করা ও প্রশ্ন ফাঁস করার মাধ্যমে সেই কাজটি করা হয়েছে। একজনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চলমান আন্দোলন ঠেকাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর ছেলে ফোনে হুমকি দিয়েছেন। কমিটি ৩০ অক্টোবর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বক্তব্য, অনুসন্ধান, সাক্ষাৎকার, ফেসবুক ও অনলাইন থেকে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরীক্ষা পদ্ধতির ১১টি ধাপের ছয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিভাগে হয়ে থাকে। যথাযথ নজরদারি না হলে প্রশ্নপত্র পাচার হওয়ার আশঙ্কা এখানেই সবচেয়ে বেশি। মেধাক্রমে এগিয়ে থেকেও অপেক্ষমাণ তালিকায় পরীক্ষার্থীর নাম থাকা, শুধু পাস নম্বর পেয়েও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সম্মিলিত তালিকায় সেই ক্রমিক নম্বর থাকা, একই নম্বর পাওয়া একাধিক পরীক্ষার্থীর এলোমেলো মেধাক্রম পরীক্ষা পদ্ধতির অসঙ্গতির বিষয়টি স্পষ্ট করে। এ ছাড়া ঢাকা, সলিমুল্লাহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও বারডেম মেডিকেল কলেজে ভর্তির চেষ্টা করেছে—এমন ১২ জন শিক্ষার্থীকেও শনাক্ত করেছে কমিটি।

কমিটি প্রতিবেদনে ফেসবুকের যে পেজটিতে ১৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়, যে ই-মেইল ঠিকানা থেকে প্রশ্ন বিনিময় হয়েছে, সেগুলোর নমুনা দিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
যাঁরা আগে ভর্তি হয়েছেন, নতুন করে পরীক্ষা নিলে তাঁদের কী হবে—জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল যে মাত্র ৪৪ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নপত্র পেয়েছে, সে ক্ষেত্রে ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে কেন আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। জবাবে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, বেআইনি তৎপরতার যদি একটি ঘটনাও পাওয়া যায়, তাহলে তা সামগ্রিকভাবে পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট করে।
কমিটি জানায়, ৫ নভেম্বর পর্যন্ত যেকোনো দিন যেকোনো জায়গায় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দিয়েছিল তারা। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখন এসব জায়গায় পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়।
কমিটির সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামাল, মোশাহিদা সুলতানা ও সামিনা লুৎফা, চিকিৎসক ফজলুল হক ও শাকিল আক্তার, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফিদা হক, শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু এবং লেখক-সম্পাদক রাখাল রাহা।

সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫

অবশেষে রাজশাহীবাসীর প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টালো রাসিক

পদ্মার কোলে অবিস্থিত শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহীর পদ্মানদীর কূল ঘেঁষে স্থাপন করা লালন শাহ পার্ক লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে অবশেষে সরে দাঁড়ালেন রাসিক তথা রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ স্থানটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাঁটাতারের বেষ্টনি দেওয়া হলেও ভেতরে ঢুকতে কোনো টিকিট লাগবে না।রোববার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আমিরুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- ‘লালন শাহ পার্কের নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। যা গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। বিষয়টি রাসিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে’।

‘তাই সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রাজশাহী মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া পদ্মার পাড়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ‘লালন শাহ পার্ক’ নির্মাণ করেছে। কিন্তু এর কোনো বেষ্টনি না থাকায় পার্কের অভ্যন্তরে অবাধে গবাদিপশু চরানো হচ্ছে এবং গোয়ালঘর নির্মাণ করে গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। নির্মিত অবকাঠামোর ইট, পাথর, টাইলস, বৈদ্যুতিক বাল্বসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি হচ্ছে। এমনকি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে। তাই পার্কের নিরাপত্তা বিধান, সৌন্দর্য্যবর্ধণ ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এর নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ কাজ শুরু করেছে’।

‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য আরো জানানো যাচ্ছে যে, লালন শাহ পার্ক লিজ দেওয়া হবে না। এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের ফলে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোবের সঞ্চার ঘটে যা শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে রূপ নায়।  এতে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে রাসিক কর্তৃপক্ষের।

অবশেষে রাজশাহীবাসীর প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টালো রাসিক।

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

২২ অক্টোবর থেকেই শিক্ষক নিয়গ বন্ধ

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়েছে গত ২২ শে অক্টোবর থেকে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫-এর পরীক্ষা বিধিমালা সংশোধন করে  এস আর ও জারি হয় গত ২২ শে অক্টোবর। শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এস আর ও' টি জারির দিন থেকেই কার্যকর এবং ওইদিন থেকেই ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা রহিত হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নিয়োগ দেন তবে তা অবৈধ হবে এবং এমপিওভুক্ত করা হবে না। যদিও এস আর ও প্রকাশের তারিখ ২২ শে অক্টোবর লেখা আছে, বাস্তবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে  ৪ঠা নভেম্বর।এদিকে এসআরও জারির সঙ্গে সঙ্গে পরিপত্র জারি না হওয়ায় নিয়োগ বিষয়ক অনুসরণীয় পদ্ধতিসহ অনেককিছু অস্পষ্ট রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে পুরোনো পদ্ধতিতে আর শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, “বিধি অনুযায়ী এসআরও জারির দিন থেকেই কার্যকর আর তাই শিক্ষক নিয়োগও আপাতত বন্ধ। তবে, যারা ২১ শে অক্টোবর পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন তারা এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। আবার যাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ২২শে অক্টোবরের আগে হয়েছে তারাও পুরোনো পদ্ধতিতে নিয়োগ নিতে পারবেন এবং তাদেরও এমপিওভুক্তিতে কোনও সমস্যা হবে না।” শিক্ষাসচিবের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে আলাপকালে মন্ত্রণালয়ের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, একজন যুগ্ম-সচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

দ্বাদশ নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পুরোনো নিবন্ধনধারীদের মেধা তালিকা তৈরি ও এসব বিধান মেনে নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া শুরু করতে আরও কিছুসময় লেগে যাবে। শিক্ষাসচিব বলেন, যতদিন এসব চূড়ান্ত না হয় ততদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা ছাড়া বিকল্প নেই। দ্বাদশ পরীক্ষার ফল  প্রকাশে আরও কিছুদিন দেরি হবে।

তিনি বলেন, পুরোনো ও নতুন তালিকার মধ্যে কোন তালিকার প্রার্থী পছন্দ করবেন সেই সিদ্ধান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিতে পারবেন চাহিদা দেওয়ার সময়, তবে নতুন পুরাতন কিছুই উল্লেখ না করলে ধরে নেওয়া হবে তারা নতুন তালিকার শিক্ষক পেতে চান । এক্ষেত্রে বলা যায় হাজার হাজার নিবন্ধকারীর জন্য এটা একটা দুশ্চিন্তারি কারন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মচারী নিয়োগ পুরোনো পদ্ধতিতেই হবে।

গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘোষণা দেন একমাসের মধ্যে কমিশন ও এসআরও জারি হবে। এরপর থেকে সারাদেশে নিয়োগের হিড়িক পড়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সারাদেশে বাণিজ্য চলছে  বছরের পর বছর। এসব বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েই নিয়োগবাণিজ্য বন্ধের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় এসআরও জারির সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের মানুষ অসম্ভব খুশী হয়েছেন। শিক্ষার প্রকৃত সংস্কার হিসেবে এটাকেই ১ নম্বরে স্থান দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা।

নতুন পদ্ধতি চালু করতে সাময়িক কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই এটা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সচিব বলেন, নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে উদ্ভুত সকল সমস্যার সমাধানে পরিপত্রে সংশোধনী আনা হবে যতবার দরকার ততবারই।

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫

বাল্যবিয়ের কারনে অনেকেই শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার আগেই

২রা নভেম্বর'১৫ তারিখ অর্থাৎ রোববার থেকে সারা দেশব্যাপী শুরু হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এইবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে মোট ২৩,২৫,৯৩৩ জন যারমধ্যে ১,৩৩,৫৬৯ জন অনিয়মিত অর্থাৎ নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২১,৯২,৯৩৫ জন । অথচ ২০১২ সালের প্রাথমিক সমাপনী ও এবতেদায়ী পাস করে ২৬,৭০,৯৩৫ জন শিক্ষার্থী যাদের সকলের এইবার ২০১৫ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু আসলে অংশগ্রহণ করছে প্রায় ৪.৭৯ লক্ষ শিক্ষার্থী কম অর্থাৎ এদের সকলেই ঝরে পড়েছে।
কিছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এই সংখ্যাটা কি স্বাভাবিক? তাহলে এতগুলো শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার মূল কারন টা কি হতে পারে তার সন্ধানে পাওয়া গেলো অনাকাঙ্ক্ষিত তথ্য, বাল্যবিবাহ। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা এখনও অনেক বেশি।

এখানে দেখুন শুধু টাঙ্গাইলের বাল্যবিয়ের অবস্থাঃ-
২ তারিখে শুরু  হওয়া জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাঁচটি কেন্দ্রে অনুপস্থিত রয়েছে ৮২ ছাত্রী। এদের মধ্যে অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। অনুপস্থিত ছাত্রীদের মধ্যে ৬৬ জন জেএসসি, ১৬ জন জেডিসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। অনুপস্থিতির কারণ জানতে গিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও পাঁচটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

তারা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে দুই/একজন ঝরে পড়া ছাড়া অধিকাংশই বাল্যবিয়ের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। আবার অনেকে স্বামীর সংসার থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

এ বছর মির্জাপুর উপজেলার ভারতেশ্বরী হোমসসহ ৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচ হাজার ৮৩১জন এবং ১৪টি মাদ্রাসা থেকে ৪৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিল। নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন হাজার ৪৬৬ জন ছাত্রী এবং তিন হাজার ২৯২ জন ছাত্র রয়েছে। এদের মধ্যে ৮২ জন ছাত্রী এবং ৪৫ জন ছাত্র অনুপস্থিত রয়েছে বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।

এ উপজেলার বাঁশতৈল মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, সদরের সদয় কৃষ্ণ মেডল উচ্চ বিদ্যালয় ও আফাজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, জামুর্কী উচ্চ বিদ্যালয় ও ক্যাডেট কলেজ এর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাঁশতৈল মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন সোমবার ছাত্রী ১৪ জন ও ছাত্র ১২ জন অনুপস্থিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন সোমবার পাঁচটি কেন্দ্রে একই রকম অনুপস্থিত রয়েছে বলে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন।

সদরের মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন বলেন, ৩১৮ জন ছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় নিবন্ধন করেছিল। এদের মধ্যে ৩০৬ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বাকি ১২ জন ছাত্রীর প্রবেশ পত্র বিদ্যালয়ে রয়েছে। ১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছেন। ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন। তারপরও শিক্ষাজীবন থেকে অনেক সম্ভাবনাময় ছাত্রী এভাবে ঝরে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এলাকার শিক্ষিত সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন করতে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

ঢাকা মেট্রো এলাকার গনপরিবহনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ

ঢাকা মেট্রো এলাকার গণপরিবহনগুলোতে সরকারকর্তৃক নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ঘটনা শোনা যায়। বসের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন এক চিরায়ত প্রথা। সড়ক ও পরিবহন মুন্ত্রি জনাব অবাইদুল কাদের কয়েক দিন পূর্বে বলেছেন রাজধানীর শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া এবং না নিলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এর পরেই উঠে আসে অভিযোগ কেন্দ্র বা অভিযোগ গ্রহণকারীর প্রসঙ্গ। কে, কথায়, কিভাবে কিংবা কার কারকাছে অভিযোগ জানাবে?  আর তাই এই সমস্যা সমাধানে বিআরটিএর ফোন এবং ওয়েবসাইট থাকছে সকলের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য। বাস/মিনিবাস/সিএনজি অটোরিকশায় নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তা বিআরটি-এর ফোন নং- ৯১১৩১৩৩, ৫৮১৫৪৭০১, ৯১১৫৫৪৪, ৯০০৭৫৭৪- এ অফিস চলাকালীন সময়ে জানাতে পারবেন। এছাড়া বিআরটিএর ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ তার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এবং মোটরযানের নম্বর দিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করতে পারবেন।

 অভিযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন
 ভাড়ার তালিকা জানতে এখানে ক্লিক করন 

বিঃ দ্রঃ বিআরটিএ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেতে http://brta.gov.bd/ এই লিংক থেকে ঘুরে আসুন।  

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে প্রবেশে টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের

শিক্ষানগরী রাজশাহীর বলাযেতে পারে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা পাড় বিশেষ করে পদ্মা গার্ডেন। কিন্তু এই উম্মুক্ত ও সাবলীল সময় কাটানো যেন আর সয়ছে না কর্তাবাক্তিদের। তাদের এখন টাকার দরকার।

আর তাই, এই উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র রাজশাহীর পদ্মার পাড় ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। এখন থেকে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। এজন্য নগরবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, বিনোদন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বড়কুঠি থেকে টি-বাঁধ পর্যন্ত পদ্মার পাড় রাজশাহী নগরবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রবেশের আগে ধরা-বাঁধা কোন নিয়ম ছিলো না। কিন্তু এখন টিকিট কেটে পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে দর্শনার্থীদের।

এ লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দরগাপাড়া মাজার থেকে লালন শাহ পার্ক পর্যন্ত ১০ ফিট উঁচু করে পিলার দিয়ে ঘিরে দিচ্ছে। এতে পদ্মাপাড়ে নগরবাসীর উন্মুক্ত চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।

এ ব্যাপারে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর মতো সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িতরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে দর্শনার্থী-বিমুখ হয়ে পড়তে পারে পদ্মার পাড়।

অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পদ্মার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, নির্দিষ্ট এলাকার পদ্মার পাড়কে কাঁটাতারে ঘিরতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।
সুত্রঃ সময় টিভি

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

শুধু রাজধানীর শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া

এত দ্বারা সর্বসাধারনের অবগতির জন্য মাননিয় মন্ত্রি ওবায়দুল কাদের, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, জানিয়েছেন যে, সরকারি মালিকানাধীন বাস বিআরটিসিসহ অন্যান্য বাসগুলোতেও শিক্ষার্থীদের মূল ভাড়ার অর্ধেক নিতে হবে অন্যথায় পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল সোমবার ঢাকাস্থ বিআরটিসির কার্যালয়ে বাস ডিপো ব্যবস্থাপকদের সাথে মন্ত্রীর বৈঠক  শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন ।

বিঃদ্রঃ 
 > পরিবহনঃ বিআরটিসিসহ সকল বাস
> এলাকাঃ শুধু মাত্র রাজধানী শহর
> অভিযোগ কেন্দ্রঃ নাই
>অভিযোগ গ্রহিতাঃ বাসের কনট্রাক্টর
>ফলাফলঃ বাকবিতণ্ডা 

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

৩০ অক্টোবর অবশিষ্ট ১৭ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১৭ জেলায় লিখিত পরীক্ষা 
তারিখঃ  ৩০ অক্টোবর ২০১৫ শুক্রবার
সময়ঃ সকাল ১০টা থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত
অন্তর্ভুক্ত জেলাঃ রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বরিশাল, 
                           কিশোরগঞ্জ,  টাঙ্গাইল, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা। 
প্রার্থীর সংখ্যাঃ ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৮ জন।
প্রবেশপত্র প্রাপ্তিঃ www.dpe.teletalk.com.bd
তথ্য প্রদান করেনঃ  রবীন্দ্রনাথ রায়, জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তথ্য সুত্রঃ সমকাল24

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের তথ্য আহবান

http://services.nu.edu.bd/nu-app/

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হবে কমিশনের মাধ্যমে

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে গঠিত হবে এই কমিশন। কমিশন শূন্য পদের হিসেব করে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করবে। সেখান থেকে মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এতে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির ক্ষমতা আর থাকছে না। তারা শুধু কমিশনের তৈরি করা মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের ব্যবস্থা করবেন।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এটা কার্যকর হতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। এর আগ পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে না বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নিয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকে পরিচালনা কমিটির হাতে। এতে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।

প্রস্তাবিত নিয়মে প্রথমে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করবে কমিশন। এরপর কমিশন পরীক্ষা নেবে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় মেধা তালিকা করা হবে। এই তালিকার মধ্য থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে যারা নিবন্ধিত হয়ে আছেন, তাদেরও আগামী তিন বছর পর্যন্ত একটি সুযোগ দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষ সচিব নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম-আলো.কম

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

সিটি করপরেশনের ছোট-বড় চোর ধোরতে প্রযুক্তির ব্যবহার

কোনোভাবেই যখন জ্বালানি তেল চুরি ও গাড়িগুলোর অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তখন প্রয়োজন পড়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের। তাই এবার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ কে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে ডিএনসিসি শুরু করতে যাচ্ছে ভিটিএস বা ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম।
ট্রিপ না দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া, ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ২০ কিলোমিটার দেখানো বা গাড়ি ফেলে বাসায় ঘুমিয়ে কাটানোর প্রবণতা। অসাধু চালকদের এ রকম নানা কূটকৌশলে পেরে উঠছিল না কর্তৃপক্ষ। তাই চলতি মাসের মধ্যেই মেয়র থেকে শুরু করে ডিএনসিসির ২০৮টি গাড়িতে লাগানো হচ্ছে ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) নামক একটি ছোট্ট যন্ত্র। যানবাহনের এমন একটি স্থানে ভিটিএস সংযোজন করা হবে, চালক নিজেও তা জানতে পারবেন না। এ সিস্টেমের মাধ্যমে একটি গাড়ি কখন কোথায় আছে, সারা দিনে কোথায় কোথায় চলাচল করেছে, কত কিলোমিটার পথ চলেছে, কী পরিমাণ জ্বালানি পুড়েছে তার সবকিছু সর্বক্ষণ মনিটর করা যাবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গাড়িগুলোর প্রতি মাসের চলাচল-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও প্রিন্টের মাধ্যমে দেখা যাবে।
ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক সমকালকে বলেন, জ্বালানি ব্যয় কমাতে শিগগিরই তারা গাড়িতে ভিটিএস সংযোজন করতে যাচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত অনেক কাজও এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসের মধ্যেই গাড়িগুলোতে ভিটিএস যুক্ত হতে পারে। এতে জ্বালানি চুরিও বন্ধ হবে। কেউ কাজেও ফাঁকি দিতে পারবে না।
ডিএনসিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) মাহবুবুর রহমান সমকালকে জানান, ভিটিএস লাগালে প্রতি মাসে ডিএনসিসির এক লাখ টাকার মতো বাড়তি খরচ হবে। কিন্তু উপযোগিতা পাওয়া যাবে কোটি টাকার সমান। চলমান ২০৮টি গাড়িতেই ভিটিএস লাগানো হবে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিটিএস সংযোজনের বিষয়ে ডিএনসিসির আলোচনা করে ডিএনসিসি। মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি বলেছে, তারা প্রতিটি গাড়িতে সাত হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে ভিটিএস সংযোজন করে দিতে পারবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে গাড়িপ্রতি দিতে হবে ৫৫০ টাকা। গ্রামীণফোন ভিটিএস সংযোজনে চায় আট হাজার ৮০০ টাকা। মাসিক খরচ ৬৭২ টাকা। আর নিটল মোটরস চায় নয় হাজার ৫০০ টাকা ও গাড়িপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ভিটিএসের দুই বছরের ওয়ারেন্টি দেবে। এ সময়ে সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বও তারাই পালন করবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিটিএস সংযোজন করা প্রতিটি গাড়ির প্রতিমুহূর্তের তথ্য যে কোনো স্থানে বসেই জানা যাবে। পরে রবিকে চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে রবিকে কাজ দেওয়ার জন্য মেয়রের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
ভিটিএসের সুবিধা :ভিটিএস সংযোজনের মাধ্যমে গাড়িগুলোর গতি ও এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। নির্ধারিত গতি ও এলাকা অতিক্রম করলেই সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কাছে মেসেজ পেঁৗছাবে। ওই গাড়ির আশপাশের গাড়িগুলোর তথ্যও পাওয়া যাবে। গাড়িটি চুরি হয়ে গেলে কেন্দ্র থেকেই গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেওয়া যাবে। গাড়ির সার্বক্ষণিক অবস্থানও জানা যাবে। ইঞ্জিনের মান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবে ভিটিএস। কী পরিমাণ জ্বালানি পুড়ল, সে তথ্যও পাওয়া যাবে।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কোটি টাকার জ্বালানি খরচ করা হলেও ওই জ্বালানিতে যে পরিমাণ রাস্তা চলার কথা, ডিএনসিসির গাড়িগুলো ওই পরিমাণ রাস্তা অতিক্রম করে না। অনেক সময় কর্মকর্তারা গাড়িগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বা ঢাকার বাইরে অবকাশ যাপনে নিয়ে যান। অনেক চালক গাড়ি নিয়ে বাণিজ্যিক ট্রিপও দেন। আর বর্জ্যবাহী গাড়িগুলো দুই ট্রিপ দিয়ে তিন-চার ট্রিপের কথা উল্লেখ করে।
 অনেক সময় ট্রিপ না দিয়ে জ্বালানির কুপন তুলে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার কাহিনীও নতুন নয়। এসব কারণে রাজধানীর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমেরও তেমন উন্নতি হচ্ছে না। এসব অনিয়ম রোধে ডিএনসিসি কয়েকজন চালককে সাময়িক বরখাস্তও করেছে। তার পরও আশানুরূপ ফল মেলেনি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ভিটিএসই এসব অনিয়ম প্রতিরোধের সর্বোত্তম সমাধান।

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

২০১৪ সালের সম্মান ১ম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ আজ ১২ অক্টোবর

http://www.nu.edu.bd/results/

সরকারি চাকুরিতে 'আবেদন ফি' আর না

খুব শিগ্রই সরকারি চাকরিতে ‘আবেদন ফি’ তুলে দিতে যাচ্ছে সরকার । এর ফলে প্রায় ৬ কোটি বেকারকে আর গুনতে হবে না চাকরির আবেদন ফি'র জন্য বাড়তি টাকা। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আদেশ জারি হবে। এছাড়া আবেদনকারীদের ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে মাত্র এক পৃষ্ঠার আবেদনপত্র করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মানবকণ্ঠ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো টাকা নেবে না সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরিতে আবেদন তুলে দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, নানা খাতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারদের কাছে আবেদন ফি বাবদ যে টাকা জমা হয়, তা না হলেও চলবে। এ আদেশ জারি হলে লাখ লাখ বেকার যুবককে চাকরির আবেদনের সঙ্গে পোস্টাল অর্ডার, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে না।
বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের আবেদনপত্রে জন্য মোবাইলে ৫শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে, প্রথম শ্রেণীর পদের জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য ১০০ থেকে ৫টাকা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে আবেদন ফি ৫০০-১০০ টাকা ও ব্যাংকের আবেদনে ৩০০টি নেয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে  আবেদন ফি নিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, চাকরির আবেদনে পোস্টাল অর্ডার, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করার বিধান রহিত করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
রেলপথসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে ডাক বিভাগ ও খাদ্য অধিদফতরে প্রার্থীদের দেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আত্মসাৎ করা  নিয়ে মামলাও হয়েছিল। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদফতর এবং রেলওয়েতে চাকরি প্রত্যাশীদের তিন লাখ আবেদন এখনো বিবেচনা করে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ২০০৪ সাল থেকে এসব আবেদন পড়ে আছে। আর আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত ১০০ টাকার পোস্টাল অর্ডারের ভাগ্যে কী হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। এসব কারণে আবেদন ফি তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চাকরির আবেদন ফি সরাসরি ফান্ডে জমা পড়ে। চাকরির জন্য লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার ব্যয় অন্য ফান্ড থেকে মেটানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ আবেদন ফি থেকেই অর্থ ব্যয় হয় না।
তাছাড়া দেখা গেছে, কোনো একটি পদে ৫০ জন নেয়ার কথা। এর বিপরীতে ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। লিখিত পরীক্ষায় ৩শ’ থেকে ৫শ’ জন পাস করে। বাকিরা ভাইভার আগে বাদ পড়েন। চাকরি পাওয়ার চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার জন্য তাদের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। এসব বিষয়াদি জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সাফ কথা, বেকারদের এমনিতেই আয়-রোজগার নেই, ওরা টাকা দেবে কোথা থেকে। ওদের টাকা আর নেয়া যাবে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যয় মেটানোর আলাদা প্রক্রিয়াটি তাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সরকারের ভেতরে কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আদেশ জারি হবে।
এদিকে সরকার চাকরির আবেদনকারীদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখন থেকে চাকরির জন্য নিজ হাতে লিখিত আবেদন করতে হবে না। আবেদনের সঙ্গে অসংখ্য সনদের ফটোকপি দেয়ারও বিধান বাতিল করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাকরির আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা বা আবেদন সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে বছরের পর বছর আবেদন ফেলে রাখা হয়। বিশেষ করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদের নিয়োগের বিলম্ব খুঁজতে গিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষিতে যারা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন তারাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন এমন সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দেয়া হয়েছে।
আবেদনের সঙ্গে জন্মসনদ, নাগরিক সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, চারিত্রিক সনদসহ অনেক ধরনের কাগজপত্র সংযুক্ত করার বিধান ছিল। এটা আবেদনকারীদের জন্য অতিরিক্ত বিড়ম্বনা। তিনি চাকরি পাবেন কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই অথচ তার আগেই আবেদন করতে গিয়ে তাকে নানা ঘাটে পয়সা গুনতে হয়, না হয় হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। এসব থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের মুক্তি দিতেই সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু নির্ধারিত ফরমে চাকরিপ্রত্যাশীকে আবেদন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময়ে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা শর্তের সপক্ষে প্রমাণপত্র হাজির করতে হবে। তবে আবেদন ফরমে প্রার্থীকে অঙ্গীকার করতে হবে যে, তার দেয়া তথ্য সঠিক। ভুল তথ্য দিলে প্রার্থী আইনানুগ শাস্তি গ্রহণে বাধ্য থাকবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতর-অধিদফতরসহ সব প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত ফরমের ছকও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অনলাইন বা ফরম ডাউনলোড করে খামেও আবেদন করা যাবে।
এসব পদক্ষেপে চাকরিপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমবে এবং চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা দূর হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এক পাতার আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে শুধু ৫/৫ সেন্টিমিটার সাইজের সদ্য তোলা দুই কপি ছবি। পদের নাম, বিজ্ঞপ্তির তারিখ, প্রার্থীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, জন্মজেলা, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, প্রার্থীর বয়স, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, বর্তমান ও স্থায়ী, জাতীয়তা, ধর্ম, জেন্ডার, পেশা শিক্ষাগত যোগ্যতা, বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়, পাসের সাল, গ্রেড/শ্রেণী বা বিভাগ, মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর বা ই-মেইল যদি থাকে। পরিশেষে প্রার্থীর স্বাক্ষর।
এসব তথ্যের সপক্ষে কোনো সনদ সত্যায়িত করে সংযুক্ত করার দরকার নেই। শুধু মৌখিক বা চূড়ান্ত নিয়োগ পরীক্ষার সময়ে তা হাজির করতে হবে।